ঘি এর উপকারিতা ও অপকারিতা
Table of Contents
Toggleঘি এর উপকারিতা
- হজম উন্নত করে: ঘি হজম উন্নত করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এতে থাকা Conjugated Linoleic Acid (CLA) হজম প্রক্রিয়া সহজ করে।
- ওজন কমাতে সাহায্য করে: অল্প পরিমাণে ঘি খাওয়া ওজন কমাতে সাহায্য করে। এতে থাকা CLA শরীরে চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: ঘিতে থাকা ভিটামিন A, D, E এবং K রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
- হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো: ঘিতে থাকা ভিটামিন K হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এটি হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
- মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে: ঘিতে থাকা Omega-3 fatty acids মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
- ত্বকের জন্য ভালো: ঘিতে থাকা ভিটামিন A এবং E ত্বকের জন্য ভালো। এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজড রাখতে এবং ব্রণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
ঘি এর অপকারিতা
- অতিরিক্ত ঘি খাওয়া ওজন বৃদ্ধি করতে পারে।
- যাদের উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা আছে তাদের ঘি খাওয়া উচিত নয়।
- ঘি তে ল্যাকটোজ থাকে, তাই যাদের ল্যাকটোজ অ্যালার্জি আছে তাদের ঘি খাওয়া উচিত নয়।
ঘি খেলে কি মোটা হয়?
অল্প পরিমাণে ঘি খাওয়া মোটা করে না। বরং ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত ঘি খাওয়া ওজন বৃদ্ধি করতে পারে।পুরাতন ঘি এর উপকারিতা
পুরাতন ঘি তে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ বেশি থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়াও পুরাতন ঘি হজমে সহায়ক এবং ত্বকের জন্য ভালো।ঘি বানানোর নিয়ম
উপকরণ
- দুধের সর (মাখন) ।
- ভারী তলাযুক্ত পাত্র (কড়াই) ।
- ছাঁকনি ।
- পরিষ্কার কাপড় ।
- পাত্র ।
প্রণালী
১. সর সংগ্রহ
- প্রথমে, গরুর দুধ ভালো করে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিন।
- ঠান্ডা দুধে দই মিশিয়ে ঘন করে নিন।
- ঘন দুধের উপরে যে সর জমে তা সংগ্রহ করে ধুয়ে নিন।
- পানি ঝরানোর জন্য সর একটি পাতলা কাপড়ে ঝুলিয়ে রাখুন।
২. ঘি তৈরি
- ভারী তলাযুক্ত পাত্রে সর মৃদু আঁচে গরম করুন।
- সর গরম হতে থাকলে ধীরে ধীরে নাড়তে থাকুন।
- ফেনা উঠতে থাকলে ফেনা সরিয়ে ফেলুন।
- ঘি ঘন হতে থাকলে রঙ বাদামী হয়ে আসবে।
- ঘি বাদামী রঙ ধারণ করলে আঁচ থেকে নামিয়ে ফেলুন।
- একটি পরিষ্কার কাপড়ে ছেঁকে ঘি পাত্রে সংরক্ষণ করুন।
ঘি বানানোর কিছু টিপস
- ঘি বানানোর সময় সবসময় মৃদু আঁচ ব্যবহার করুন।
- ঘি পুড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন।
- ঘি ঠান্ডা হয়ে জমে গেলে পাত্রে গরম পানিতে ডুবিয়ে রাখলে তা গলে যাবে।
- ঘি ফ্রিজে সংরক্ষণ করলে দীর্ঘ সময় ভালো থাকবে।
ঘি তৈরির বিকল্প পদ্ধতি
- মাখন থেকে ঘি: বাজার থেকে কিনতে পারেন বা দুধের সর থেকে মাখন তৈরি করে ঘি বানাতে পারেন।
- মাইক্রোওয়েভে ঘি: মাইক্রোওয়েভেও ঘি তৈরি করা সম্ভব। তবে এই পদ্ধতিতে ঘি তৈরির স্বাদ ও গুণমান কিছুটা কম হতে পারে।
গরুর দুধের ঘি এর উপকারিতা
গরুর দুধের ঘি তে ভিটামিন A, D, E এবং K, Omega-3 fatty acids এবং Conjugated Linoleic Acid (CLA) থাকে যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।ঘি এর পুষ্টি উপাদান
ঘি তে ভিটামিন A, D, E এবং K, Omega-3 fatty acids এবং Conjugated Linoleic Acid (CLA) থাকে।বাচ্চাদের জন্য ঘি এর উপকারিতা
ঘি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ এ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি শুধু সুস্বাদুই নয়, বরং স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। বিশেষ করে বাচ্চাদের জন্য ঘি খুবই ভালো। বাচ্চাদের জন্য ঘি খুবই ভালো কেন চলুন তা জেনে নেই। এটি বাচ্চাদের হজমশক্তি বৃদ্ধি করে,ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে,মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে,হাড়ের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।বাংলাদেশে ঘি দাম কত?
বাংলাদেশে ঘি দাম বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং গুণমানের উপর নির্ভর করে। বাজারে প্রতি কেজি ঘি ৮০০ টাকা থেকে শুরু করে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়।তবে তিস্তা ফুড (Tista Food) এ অল্প টাকাতে ভালো মানের কোয়ালিটি ফুল (Quality Full) ঘি পাওয়া যায়।সাধারণ জিজ্ঞাসা
প্রতিদিন কত পরিমাণ ঘি খাওয়া উচিত তা নির্ভর করে আপনার বয়স, ওজন, শারীরিক অবস্থা এবং জীবনধারার উপর।
ঘি খেলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা কম কারণ:
- ঘিতে conjugated linoleic acid (CLA) থাকে যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- ঘিতে থাকা butyric acid হজমশক্তি উন্নত করে এবং শরীরে চর্বি জমতে বাধা দেয়।
- ঘিতে থাকা medium-chain triglycerides (MCTs) দ্রুত শোষিত হয় এবং শরীরে শক্তি হিসেবে ব্যবহার হয়, ফলে চর্বি জমে না।
ঘি দিয়ে ভাত খেলে অনেক উপকারিতা রয়েছে। ঘিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে। এছাড়াও, ঘিতে থাকে Conjugated Linoleic Acid (CLA) যা শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। ঘি খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং ত্বক ও চুলের জন্যও ভালো। তবে, ঘি খেতে হবে পরিমিতভাবে।
প্রতিদিন এক চা চামচ থেকে দুই চা চামচ ঘি খাওয়া যেতে পারে।