স্ট্রোক প্রতিকার ও প্রতিরোধ
স্ট্রোক হলো মস্তিষ্কের রক্ত সরবরাহে হঠাৎ বিঘ্ন ঘটার ফলে মস্তিষ্কের কোষের ক্ষতি বা মৃত্যু। এটি একটি জরুরী চিকিৎসা অবস্থা যা দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন। স্ট্রোকের দুটি প্রধান ধরণ রয়েছে: ইস্কেমিক এবং হেমোরেজিক। ইস্কেমিক স্ট্রোক রক্ত নালীর ব্লকের কারণে হয় যা মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ করে। হেমোরেজিক স্ট্রোক মস্তিষ্কের রক্তনালী ফেটে যাওয়ার কারণে হয়।
স্ট্রোক করার লক্ষণ
- হঠাৎ মুখ, বাহু বা পায়ের দুর্বলতা বা অসাড়তা।
- হঠাৎ বিভ্রান্তি, সমস্যা বলা বা বোঝার অসুবিধা।
- হঠাৎ হাঁটার সমস্যা, ভারসাম্য হারানো বা সমন্বয়ের অভাব।
- হঠাৎ এক বা উভয় চোখে দৃষ্টি সমস্যা।
- হঠাৎ তীব্র মাথাব্যথা, যার কোন স্পষ্ট কারণ নেই।
স্ট্রোক প্রতিরোধে খাবার
- ফল, শাকসবজি এবং গোটা শস্য সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
- স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ট্রান্স ফ্যাট এবং কোলেস্টেরল কম খান।
- সোডিয়াম (লবণ) কম খান।
- পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
স্ট্রোকের প্রাথমিক চিকিৎসা
- দ্রুত ৯৯৯ তে কল করুন।
- রোগীকে শুইয়ে রাখুন এবং তাদের মাথা উঁচু করুন।
- রোগীকে শান্ত রাখুন এবং তাদের আশ্বস্ত করুন।
- রোগীকে খাওয়া বা পান করার চেষ্টা করবেন না।
- রোগীর লক্ষণগুলি পর্যবেক্ষণ করুন এবং জরুরী চিকিৎসা কর্মীদের তা জানান।
স্ট্রোক থেকে বাঁচার উপায়
- ধূমপান ত্যাগ করুন।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
- কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
- নিয়মিত আপনার ডাক্তারের সাথে দেখা করুন।
স্ট্রোক প্রতিরোধের উপায়
- স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- ধূমপান ত্যাগ করুন।
- মদ্যপান সীমিত করুন।
- আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
- কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
- নিয়মিত আপনার ডাক্তারের সাথে দেখা করুন।
পরিশেষে
স্ট্রোকের প্রাথমিক চিকিৎসা দ্রুত এবং সঠিকভাবে করা গুরুত্বপূর্ণ। স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা গেলে, দ্রুততম সময়ে ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।স্ট্রোক থেকে বাঁচার উপায় নির্ভর করে স্ট্রোকের ধরন এবং তীব্রতার উপর। কিছু লোক পুনর্বাসনের মাধ্যমে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারে, অন্যরা দীর্ঘমেয়াদী প্রতিবন্ধীতার সম্মুখীন হতে পারে।স্ট্রোক প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গ্রহণ করা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
“ফিট বে“ তে আর টি এম স (RTMS) এর মাধ্যমে স্ট্রোক নিরাময় করানো হয়ে থাকে।আমাদের পরামর্শ ও বিশেষজ্ঞদের সহায়তায়, আমরা আপনার স্বাস্থ্য এবং সুখের পথে আনতে সাহায্য করবো।
তথ্যসূত্র: CDC
Pingback: স্ট্রোক এর লক্ষণ কি