আকুপাংচার মানে কি
Table of Contents
Toggleআকুপাংচার চিকিৎসা কি
আকুপাংচার চিকিৎসা হলো শরীরের বিভিন্ন অসুস্থতা দূর করার জন্য আকুপাংচার পদ্ধতি ব্যবহার করার প্রক্রিয়া।আকুপাংচার চিকিৎসা পদ্ধতি
আকুপাংচার চিকিৎসা পদ্ধতিতে, একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক রোগীর শারীরিক অবস্থা, লক্ষণ এবং অসুস্থতার ধরন অনুযায়ী নির্দিষ্ট অ্যাকুপয়েন্টগুলোতে সুচ প্রবেশ করান। এই সুচগুলো খুবই পাতলা এবং স্টেরিলাইজড, তাই রোগীদের তেমন কোন ব্যথা অনুভব হয় না।যেসব রোগে আকুপাংচার কার্যকর ভূমিকা রাখছে
আকুপাংচার বিভিন্ন ধরণের রোগের চিকিৎসায় কার্যকর ভূমিকা রাখে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:- ব্যথা: মাথাব্যথা, ঘাড়ব্যথা, পিঠব্যথা, হাঁটুর ব্যথা, কনুইয়ের ব্যথা।
- মানসিক সমস্যা: উদ্বেগ, বিষণ্ণতা।
- পাকস্থলীর সমস্যা: বমি বমি ভাব, অম্বল, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য।
- শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা: সর্দি-কাশি, হাঁপানি।
- অ্যালার্জি: ফুসকুড়ি, এলার্জির প্রদাহ।
- প্রজনন সমস্যা: ঋতুচক্রের সমস্যা, বন্ধ্যাত্ব।
- মাসিক স্রাবের সমস্যা: তীব্র ব্যথা, অনিয়মিততা।
আকুপাংচার থেরাপি
আকুপাংচার হলো চীনের প্রাচীনতম চিকিৎসা পদ্ধতিগুলোর মধ্যে একটি, যা শরীরের নির্দিষ্ট বিন্দুতে সূক্ষ্ম সুচ ফুটিয়ে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করার জন্য ব্যবহৃত হয়।আকুপাংচার চিকিৎসার খরচ
আকুপাংচার চিকিৎসার খরচ বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে, যেমন চিকিৎসকের অভিজ্ঞতা, ক্লিনিকের অবস্থান, চিকিৎসার ধরন এবং স্থায়িত্ব ইত্যাদি। “ফিট বে”তে খুবেই অল্প খরচে অভিজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা আকুপাংচার চিকিৎসা দাওয়া হয়ে থাকে ।আকুপাংচার যেভাবে কাজ করে
আকুপাংচার হলো চীনের প্রাচীনতম চিকিৎসা পদ্ধতিগুলোর মধ্যে একটি, যা শরীরের নির্দিষ্ট বিন্দুতে সূক্ষ্ম সুচ ফুটিয়ে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করার জন্য ব্যবহৃত হয়। আকুপাংচারের কার্যপ্রণালী সম্পর্কে বিভিন্ন ধারণা প্রচলিত:১। চি’ প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ
চীনা চিকিৎসা বিদ্যা অনুসারে, ‘চি’ নামক এক ধরণের জীবনশক্তি শরীরের ‘মেরিডিয়ান’ নামক অদৃশ্য পথ ধরে প্রবাহিত হয়। ‘চি’র ভারসাম্যহীনতা বা বাধাগ্রস্ত প্রবাহ রোগের কারণ। আকুপাংচার ‘চি’ প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করে ভারসাম্য পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে।২। স্নায়ুতন্ত্রের উদ্দীপনা
সূচ ফুটানো স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে, যা মেরুদণ্ডের মাধ্যমে মস্তিষ্কে সংকেত পাঠায়। এর ফলে বিভিন্ন শারীরিক প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যেমন:- ব্যথা উপশম: এন্ডোরফিন ও অন্যান্য স্নায়ুপেপটাইড নিঃসরণ বৃদ্ধি করে।
- রক্ত প্রবাহ উন্নত: রক্তনালী প্রসারিত করে।
- প্রদাহ হ্রাস: প্রদাহজনক রাসায়নিক পদার্থের নিঃসরণ কমিয়ে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: শরীরের প্রাকৃতিক নিরাময় প্রক্রিয়া উদ্দীপিত করে।
৩। শারীরিক ও মানসিক প্রভাব
আকুপাংচার শরীর ও মনের উপর সামগ্রিকভাবে প্রভাব ফেলে। এটি শিথিলতা, উদ্বেগ ও চাপ কমাতে সাহায্য করে।সাধারণ জিজ্ঞাসা
আকুপাংচার বেশিরভাগ লোকের জন্য নিরাপদ। তবে, যেকোনো চিকিৎসার মতো, কিছু সম্ভাব্য ঝুঁকি রয়েছে। আপনার যদি আকুপাংচার সম্পর্কে কোন প্রশ্ন বা উদ্বেগ থাকে, তাহলে আপনার ডাক্তার বা একজন অভিজ্ঞ আকুপাংচারিষ্টের সাথে কথা বলুন।
আকুপাংচার কতদিন পর পর করা উচিত তা নির্ভর করে আপনার চিকিৎসার ধরন, তীব্রতা এবং আপনার ব্যক্তিগত শারীরিক অবস্থার উপর।
- অতিরিক্ত খাওয়া: আকুপাংচার করার আগে ভারী খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন। এটি আপনাকে অস্বস্তি বোধ করতে পারে এবং চিকিৎসার কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে।
- ক্যাফেইন: ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়, যেমন কফি, চা, এবং কোলা, আপনাকে উদ্বিগ্ন এবং উত্তেজিত করতে পারে, যা চিকিৎসার জন্য ভালো নয়।
- অ্যালকোহল: অ্যালকোহল আপনার রক্ত পাতলা করতে পারে এবং রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
১। ব্যথা কমানো: আকুপাংচার বিভিন্ন ধরণের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে, যার মধ্যে রয়েছে:
- মাথা ব্যাথা।
- ঘাড় ব্যথা।
- পিঠ ব্যথা।
- হাঁটু ব্যথা।
- গেঁটেবাত।
- ঋতুস্রাবের ব্যথা।
- ক্যান্সারের ব্যথা।
২। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি: আকুপাংচার বিভিন্ন মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যাগুলির চিকিত্সায় সাহায্য করতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:
- উদ্বেগ ।
- বিষণ্ণতা ।
- অনিদ্রা ।
- পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (PTSD) ।
৩। বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সমাধান: আকুপাংচার বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সমাধানে সাহায্য করতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:
- বমি বমি ভাব।
- বমি।
- কোষ্ঠকাঠিন্য।
- ডায়রিয়া।
- অ্যালার্জি।
- উচ্চ রক্তচাপ।